চৈতন্য শালিকের ঝাঁক উড়ে এসে বসলো মনে- অতীত খামের ভাঁজে লুকিয়ে থাকা- একাত্তর ! কাগজের কয়েকটা ফাইল, ভুলে যাওয়া এক সৈনিক, তাঁর পঙ্গুত্ব কখনই চায়নি মুক্তিযোদ্ধা সনদ, কেবলই প্রাণপণে চেয়েছিল স্বাধীনতা ।
অভিমানী লাল পতাকায় সদর্পে ঘুরে চালবাজ, কানের পাশ দিয়ে বাদামী তামার-বিচি আতংক নিয়ে কতবার পালিয়েছে ভয়ে! লোহার-শিকল গলিয়ে মুক্ত করা মানচিত্রে বুটের পিষণে চাপা খাওয়া জনতার সমুখে এনেছি স্বাধীনতার এক ফুটফুটে বাংলাদেশ ! তার পাশে কী হবে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ?
মুখের বোল একবার ভেঙ্গেছিল বায়ান্ন তারপর স্বাধীনতার পিতা-পুত্র এসেছিলো ভাষায় । তখনের পরে ফুঁসে উঠেছিল একাত্তর ! গভীর খুব গভীর রাতে, জ্বলে উঠেছিল ঘুমন্ত নগরী! নগরের পথেঘাটে কামানের ট্যাংক স্টেনগান! গুলাবারুদের বিকট শব্দ! কানের-তলা ফেটে দরদর করে রক্ত ঝরা! আমি তখনও ভয় পাইনি । কিন্তু আজ কেন ভয়ে কেঁপে উঠছে সমস্ত শরীর ! তবে কি মিথ্যে-মিথ্যি কাটা হয়েছিল পা গুলো?
মুক্তিযোদ্ধা নাম মুছে দিয়ে পা গুলো ফিরিয়ে দাও? আমি আরেকবার যুদ্ধ করব! আধা-পাগল জাতির নড়বড়ে ঘর থেকে শুরু করে, শেষ করব... নিজের মাকে বিক্রি করে আসা দালাল পর্যন্ত !
সব রক্ত গুলো শুঁকিয়ে লেগে আছে সবুজের বুকে সবুজের লাল-কলঙ্ক জ্যোতি-চিহ্ন হয়ে । তবে সেখানেই পড়ে থাক বিদীর্ণ লাল-অভিমান গুলো চৈতন্যের শালিক এখন তোমরা উড়ে যাও আমি একটু ঘুমাব. . . ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন
..............................শেষ করব... নিজের মাকে বিক্রি করে আসা দালাল পর্যন্ত....দারুণ! এটাই হোক আমাদের একমাত্র চাওয়া। খুব ভাল লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইল।
জেবুন্নেছা জেবু
মুক্তিযোদ্ধা নাম মুছে দিয়ে পা গুলো ফিরিয়ে দাও?
আমি আরেকবার যুদ্ধ করব!
আধা-পাগল জাতির নড়বড়ে ঘর থেকে শুরু করে,
শেষ করব... নিজের মাকে বিক্রি করে আসা দালাল পর্যন্ত ! ------- অনন্য ও অনবদ্য কবিতা । প্রিয়তে নিলাম ভাইয়া ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।